জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার ও নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু রহস্য নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী সাংবাদিক দর্পণ কবীর। তিনি বলেছেন, জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিকের মৃত্যুর অন্যতম কারণ সফল অপারেশনের ৮ দিন পর মদের পার্টির আয়োজন। ওই পার্টিতে মেহের আফরোজ শাওন, মাজহারুল ইসলামসহ উপস্থিত সকলেই মদপান করেছেন। দর্পণ কবীর বলেন, লাশ বুঝে নেওয়ার সময় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে আমেরিকার বেলভ্যু হাসপাতালে লিখিত অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করেছিলেন শাওন। কিন্তু ঢাকায় ফিরেই নুহাশ পল্লীতে দাফনের জন্য গোঁ ধরেন।
মৃত্যুর পর হুমায়ূন আহমেদকে কবর দেওয়া নিয়ে ও বিতর্ক হয়েছিল …
আমেরিকায় হাসপাতাল থেকে লাশ আনার সময়ে সব তথ্য দিতে হয়। লাশ কোথায় কবর দেওয়া হবে তাও লিখতে হয়। হাসপাতালের ফরমে হুমায়ূন আহমেদের লাশ ঢাকার বনানীতে কবর দেওয়ার কথা লিখেছিলেন শাওন।
আমেরিকার জেএফকে এয়ারপোর্টে সাংবাদিকরা শাওনকে প্রশ্ন করেছিল- কবর দেওয়ার বিষয়ে হুমায়ূন আহমেদের কোনো ইচ্ছা ছিল কি না? জানিয়েছিলেন, তিনি জানেন না। অথচ ঢাকায় প্লেন থেকে নামার পর বললেন, হুমায়ূন আহমেদ তাকে নুহাশপল্লীতে কবর দেওয়ার জন্য বলে গেছেন ।
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম পক্ষের সন্তানরা নুহাশপল্লীতে কবর দিতে আপত্তি জানালেন। তখন মেহের আফরোজ শাওন নুহাশপল্লীতেই অনড় থাকলেন। প্রয়োজনে তিনি আদালতে যাবেন। আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ বারডেমের হিমাগারে পড়ে থাকবে।
ঢাকায় লাশ নিয়ে আসতেও একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল…
আমেরিকা থেকে ঢাকাতে লাশ নিয়ে আসার বিষয়েও অনেক সমস্যা তৈরি করেন মেহের আফরোজ শাওন। তিনি চাইছিলেন প্লেনের বিজনেস ক্লাসে আসতে। জাফর ইকবাল সাহেব বলছিলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেভাবেই হোক লাশ ঢাকা নিতে হবে। কিন্তু শাওন বিজনেস ক্লাস ছাড়া যাবেন না। ওই রকম সময়ে শাওনের এমন আচরণ পরিবারের অনেককে ক্ষুব্ধ করেছিল। শেষ পর্যন্ত মাজহারুল ইসলাম ব্যক্তিগত উদ্যোগে শাওনের দাবি মেটান, বিজনেস ক্লাসেই দেশে ফেরেন তারা।